পেঁয়াজ তাহেরপুরী
-
জাত এর নামঃ
তাহেরপুরী
-
আঞ্চলিক নামঃ
তাহেরপুরী
-
অবমূক্তকারী প্রতিষ্ঠানঃ
দেশী
-
জীবনকালঃ
৮৫-৯০দিন দিন
-
সিরিজ সংখ্যাঃ
-
উৎপাদন ( সেচ সহ ) / প্রতি হেক্টরঃ
১৫-১৬ টন/একর কেজি
-
উৎপাদন ( সেচ ছাড়া ) / প্রতি হেক্টরঃ
০ কেজি
-
জাত এর বৈশিষ্টঃ
- ১। এক কন্দ বিশিষ্ট আকর্ষনীয় লাল রঙের কলসাকৃতির পেয়াজ।
- ২। ফলের ওজন ৪০-৪৫ গ্রাম।
- ৩। তীব্র ঝাঝযুক্ত এবং ও দীর্ঘদিন সংরক্ষন করা যায় ।
-
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
-
১ । বীজের পরিমান
: ৪৭০-৫৩০ গ্রাম/বিঘা।
কন্দ ১৩০-১৬০ কেজি/বিঘা।
-
২ । চারা তৈরিঃ
: ৩ ও ১ মিটার আকারের প্রতি বীজতলার জন্য ২৫-৩০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। পেঁয়াজ রবি ও খরিপ মৌসুমে চাষ করা যায়। খরিপ মৌসুমে চাষের জন্য জুলাই-আগষ্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র) ও রবি মৌসুমে চাষের জন্য ফেব্রুয়ারী-মার্চ (মাঘ-ফাল্গুন) মাসে বীজ তলায় বীজ বপন করতে হয়। জমির আগাছা পরিষ্কার করে ভালভাবে চাষও মই দিয়ে ৩ত্ম১ মিটার আকারের বীজতলা করে এক সপ্তাহ রাখা হয়। বীজ বপনের পূর্বে আগের দিন সন্ধ্যায় বীজ ভিজিয়ে রেখে পরের দিন তুলে ১ ঘন্টা রৌদ্রে শুকিয়ে তারপর বীজতলায় বপন করতে হবে। বীজ বপনের পর ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে বীজ ঢেকে দিতে হবে। বীজ বপনের পরদিন বেডে ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে। দিনের বেলা বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে এবং রাত্রে খোলা রাখতে হবে। প্রয়োজনে ঝরনা দিয়ে পানি দিতে হবে।
-
৩ । চারা রোপন
: ৫ টি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করা হয়। ১৫ ও ১০ সে.মি. দূরত্বে চারা রোপন করা হয়। বর্ষার সময় ১ মিটার চওড়া ও ১৫ সে.মি. উঁচু বেড তৈরি করে চারা রোপণ করা হয়। দুই বেডের মাঝে ৩০ সে.মি. চওড়া পানি নিকাশের নালা রাখা হয়। ৪০-৪৫ দিন বয়সের চারা লাগানোর উপযোগী হয়।
-
৪ । সার ব্যবস্থাপনা
: পেঁয়াজের জমিতে প্রতি হেক্টরে গোবর ৮-১০ টন, ইউরিয়া ২৫০-২৭০ কেজি, টিএসপি ১৯০-২০ কেজি এবং ১৫০-১৭০ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করা হয়। জমি তৈরির সময় ১৬০-১৭০ কেজি ইউরিয়া ও বাকী সমুদয় সার মাটিতে মেশাতে হয়। চারা রোপনের ২০ দিন পর বাকী ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করা হয়। সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা জমিতে রসের অভাব থাকলে সেচ দিতে হবে। বর্ষা মৌসুমে যাতে বৃষ্টির পানি দাঁড়াতে না পারে সেজন্য নিকাশ নালা রাখতে হবে। জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে। সেচের পর জমি নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে। পেঁয়াজের কন্দ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ফুলের কুঁড়ি দেখামাত্র ভেঙ্গে দিতে হবে।