মাল্টার মিষ্টতা বৃদ্ধির উপায়

মাল্টার মিষ্টতা বৃদ্ধির উপায়

লেবু গোত্রীয় ফলের মধ্যে মাল্টা বেশ জনপ্রিয়। বিগত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গড়ে উঠেছে মাল্টা বাগান। এছাড়াও বসতবাড়িতে ও ছাদ বাগানে এর সংখ্যাও কম নয়। জনপ্রিয় এই ফলটি পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ ও সুস্বাদু । তবে দেশে উৎপাদিত মাল্টার মিষ্টতা কখনও কখনও কিছুটা কম হয়। লেবু গোত্রীয় ফল বিশেষ করে মাল্টার মিষ্টতা নির্ভর করে বেশ কিছু নিয়ামকের উপর। সঠিক পরিচর্যায় মিষ্টতা বৃদ্ধি সম্ভব।

যে সকল বিষয়ের উপর মাল্টার মিষ্টতা নির্ভর করে-

১. সূর্যালোকঃ  কমপক্ষে ৮ ঝন্টা পুরো সূর্যার্লোক পাবে এমন স্থানে মাল্টা রোপন করতে হবে।পর্যাপ্ত পরিমাণ রোদ না পেলে গাছে ফুল ও ফল ধারনে সমস্যা সৃষ্টি হয়,সেই সাথে মিষ্টতা কম হয়। অপ্রয়োজনীয় ডাল ছাঁটাই করতে হবে।

২. জৈব পদার্থঃ  মাটিতে পর্যাপ্ত জৈব পদার্থ না থাকলে মাল্টার পুষ্টি ঘাটতি জনিত কারনে মিষ্টতা কম হবে।

৩. সেচঃ মাল্টা গোছে সপ্তাহে ২-৩ ই্‌ঞ্চি সেচ প্রদান করতে হবে। ফুল ও ফল ধারন এর সময় সেচ বৃদ্ধি করতে হবে। এতে মাল্টা রসালো ও আকারে বড় হবে।

৪. সার ব্যবস্থাপনাঃ বয়স ভেদে সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে।

 

সারের নাম

গাছের বয়স অনুসারে সার এর পরিমান (গ্রাম)

১-২

৩-৪

৫-৭

৮-১০

১০<

গোবর

১০০০০

১২০০০

১৫০০০

১৮০০০

২০০০০

ইউরিয়া

২০০-৩০০

৩০০-৪৫০

৪৫০-৬০০

৬০০-৭০০

৭৫০

টিএসপি

১০০-১৫০

১৫০-২০০

২০০-৩০০

৩০০-৪৫০

৫০০

এমওপি

১০০-১৫০

১৫০-২০০

২০০-২৫০

২৫০-৩০০

৪৫০

জিংক সালফেট

১০

১৫

২০

২৫

৩০

বরিক এসিড

১০

১২

১৫

 

এরপর ও মিষ্টি কম হলে ফল ধারন এর শুরুতে  বাড়তি পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছ প্রতি ৪০-৫০ গ্রাম এমওপি সার গোড়ার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। ২ গ্রাম বোরন (১/২ চাচামচ)  ও   ৪ গ্রাম (১ চাচামচ) ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ২ লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে। সঠিক পুষ্টি পেলে মাল্টা গাছে  বড় ও মিষ্টি ফল ধরে।

**মাল্টা রোপনের আগে গর্তে অবশ্যই ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করতে হবে।

৫.ফল সংগ্রহঃসেপ্টেম্বর এর শেষ থেকে অক্টোবরে ফল সংগ্রহ করতে হবে।