সিলেটের তিন উপজেলায় চাষ হচ্ছে বিষমুক্ত করলা। স্থানীয় বাজারে এই করলার কদরও বেশি। এবার ভালো ফলনেও খুশি চাষি পরিবারগুলো।
সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও সদর উপজেলার টুকরবাজারে বিস্তৃর্ণ
এলাকাজুড়ে করলার চাষ করা হয়েছে। তিন উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক পরিবারে করলা
চাষে এসেছে স্বচ্ছলতা।
নিজেদের অভিজ্ঞতায় চাষ করে এখন তিন উপজেলার করলা চাষিরা স্বাবলম্বি।
স্বপ্ন দেখেন আরো লাভের। তাদের দেখে করলা চাষের প্রতিও কৃষকদের চাহিদা
বাড়ছে দিন দিন। করলা চাষে তিন উপজেলার কৃষদের নতুন সম্ভাবনার কথা জানাল
স্থানীয় কৃষি অফিসগুলো।
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের রুপচেং মাঝরবিল এলাকায়
অনেকগুলো পরিবার করলা খন্ড খন্ড জমিতে করলা চাষ করেছেন। দাম বেশি পাওয়া যায়
বলে অন্যান্য সবজির চেয়ে চাষিদের কাছে করলা চাষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
এছাড়া কানাইঘাটে ও টুকরবাজারে ব্যাপকভাবে এই করলা চাষ করা হয়েছে। সিলেটের
বাজারে বর্তমানে খুচরা প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সিলেটের
বিষমুক্ত এই করলার চাহিদাও সিলেটে বেশি।
জৈন্তাপুরের করলা চাষী মফিজ আলী জানান, তিনি গত বছর দেড় বিঘা জমিতে করলা
চাষ করেন। প্রায় ২৫ হাজার টাকা ব্যয় করে লাখ টাকার করলা বিক্রি করেছেন। এ
বছরও তিনি করলা চাষ করেছেন। মফিজের মত সুবহান, আলিম, রহমান, সইফুল, মজিদ,
শামসুদ্দিন, মনির, হাসান, শামিমসহ অনেকেই করলা চাষে বেশ ভালবান হয়েছেন।
জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, কৃষকরা তাদের নিজ উদ্যোগে করলা
চাষ করেছেন। ফলনও ভাল হয়েছে। মাঝে মধ্যে রোগ বালাই সম্পর্কে আমাদের
ফিল্ডকর্মীদের সহযোগিতা নিয়েছেন তারা। ফিল্ড কর্মীরাও সহযোগীতা করেছেন।
এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে চাষীদের প্রযুক্তিগত সহায়তা করা হয়, যাতে করে কম
খরচে বেশী উৎপাদন করা যায়। তিনি আরো বলেন, করলার পুষ্টিগত গুণও ভাল।
ডায়াবেটিস রোগির জন্যও করলা উপকারী। তাই চাহিদা বাড়ার সাথে করলা চাষে অনেক
কৃষকই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
উত্তর সমূহ